আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও কনভেনশন লঙ্ঘন করে একতরফা ভাবে বাংলাদেশের প্রাপ্য পানি উজানে সরিয়ে নিচ্ছে ভারত। এ কারণে দেশের বিভিন্ন নদীতে পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে।
রোববার (২৩ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি) আয়োজিত ‘ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প- বাংলাদেশের পানি বিপযয় এবং করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, পানির অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুতি নিয়ে ভারত, নেপাল, চীনসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা জানান, দেশে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ দিয়ে পানি উঠছে না। সেই সঙ্গে নদীতে পানির প্রবাহ না থাকায় সমুদ্রের লোনা পানি দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। যার ফলে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে।
বক্তারা আরো জানান, অনেকগুলো প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত উজানের পানি দেশটির মরু অঞ্চল হারিয়ানা, রাজস্থান ও গুজরাটে নিয়ে যাচ্ছে।
সভায় জাতিসংঘের সাবেক পরিবেশ ও পানি বিশেষজ্ঞ ড. এস আই খান বলেন, আন্তর্জাতিক আরবিট্রেশনের মাধ্যমে সমুদ্র জলসীমায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একই ভাবে উজানের পানি সম্পদের ওপর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশের আগে গঙ্গা নদীর ৬৫ শতাংশ পানি আসে নেপাল থেকে, ১০ শতাংশ চীন থেকে এবং ২৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে। বাংলাদেশে প্রবেশের আগে ব্রহ্মপুত্রের ৬০ শতাংশ পানি আসে চীন ও ভুটান থেকে এবং ৪০ শতাংশ পানি ভারত থেকে আসে। এসব নদী শুধু ভারতের নয় বরং বহুদেশীয় নদী। তাই বহুদেশের সঙ্গে আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান ও পানির সুষম বণ্টন সম্ভব।
আইএফসি নিউইয়র্ক’র চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালুর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সিপিবি নেতা হায়দার আকবর খান রনো, পানি বিশেষজ্ঞ ইনামুল হক, হক কথা পত্রিকার সম্পাদক ইরফানুল বারি প্রমুখ।
উৎসঃ বাংলানিউজ